জেলা প্রতিনিধি,লালমনিরহাট।
লালমনিরহাটে কালিগঞ্জ উপজেলার গোড়ল ইউনিয়নের টেপারহাট উচ্চ বিদ্যালয়ে গোপাল চন্দ্র রায় (৩০)নামে এক সহকারী লাইব্রেরিয়ানকে চাকুরী থেকে বঞ্চিত করার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার।
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার টেপার হাট উচ্চ বিদ্যালয়ের কক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় ভুক্তভোগী গোপাল চন্দ্র রায় তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি ২০১৩ সালে টেপারহাট উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী লাইব্রেরীয়ান পদে যোগদান করি। আমার যাবতীয় তথ্য প্রতিষ্ঠানের ব্যানবেইস শিক্ষক টপলিস্টে দৃশ্যমান। ২০২৩ সালের চলতি বছর বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত হওয়ার পর প্রধান শিক্ষক বানোরাম রায় আমার পরিবর্তে চাকুরিবিধি লংঘন করে অর্থের বিনিময়ে অন্য একজনকে নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। এর পর বিদ্যালয় এমপিও ভুক্ত হওয়ার পর প্রধান শিক্ষক বানোরাম রায় আমাকে ডেকে বলে আমার পদে এমপিও ফাইল পাঠানো সম্ভব নয়। এতে আমি হতাশ হয়ে পড়ি। ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সহকারী লাইব্রেরিয়ান পদের যোগদানের জন্য আমার কাছ থেকে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা নেয় প্রধান শিক্ষক।
আমি একজন গরিব কৃষকের সন্তান আমি জীবনের শেষ সম্বলটুকু বিক্রি করে প্রধান শিক্ষককে টাকা দিয়ে চাকরি পাওয়ার আশায় আজ নিঃস্ব। আমি নিয়োগকৃত পদের ফাইল প্রেরণের যাবতীয় সহযোগিতা কামনা করছি। আমার এই প্রতিষ্ঠানের চাকরির না হলে পরিবার নিয়ে পথে বসবো।
আমি এঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমি একজন অসহায় কৃষক পরিবারের সন্তান। তাই আমার চাকুরীটি ফেরত চাই।
টেপারহাট উচ্চ বিদ্যালয়ে সাবেক সভাপতি ও ভুক্তভোগির বাবা সিধু রাম রায় বলেন, ছেলের চাকরির দিকে তাকিয়ে প্রধান শিক্ষকে নগদ ১৫ লক্ষ টাকা ও বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার পর পর বিদ্যালয়ের নামে ১২ শতাংশ জমি প্রদান করছি। এখন বিদ্যালয় এমপিও ভুক্ত হওয়ার পর আমার ছেলের চাকরি নিয়ে টালবাহানা করছেন ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। আমার ছেলের চাকরি ফেরত চাই।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত টেপারহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বানোরাম রায়ের সাথে মুঠোফোনে কথা বলার চেষ্টা করা হলে তার ফোন ০১৭২১৫৪১৭২৩ বন্ধ পাওয়ায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে কালিগঞ্জ উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোবাশ্বির আহম্মেদ বলেন, ওই বিদ্যালয়ের সহকারী লাইব্রেরিয়ান নিয়োগ নিয়ে সমস্যা এটা আমার জানা নেই। তবে অভিযোগ পেলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।